ক্ষোভ ছিলো পুরানো দলে থেকেই , এবার নতুন দলে এসে সেই ইস‍্যুতেই রাস্তায় নামলেন বিধায়ক

9th February 2021 4:34 pm হুগলী
ক্ষোভ ছিলো পুরানো দলে থেকেই , এবার নতুন দলে এসে সেই ইস‍্যুতেই রাস্তায় নামলেন বিধায়ক


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বিজেপিতে যোগদান করার পরে বেহাল রাস্তার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে ছিলেন। নিজের বিধানসভায় সেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ বিজেপি নেতা প্রবীর ঘোষালের। রাস্তার দাবিতে কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ।কোন্নগর স্টেশন থেকে পার ডানকুনি দিল্লীরোড পর্যন্ত প্রায় চার কিমি রাস্তা গত তিন বছর ধরে বেহাল দশা অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাের ।অভিযোগ  চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে রাস্তাটি। সেই রাস্তা দ্রুত সংস্কারের দাবীতে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা।  উপস্থিত ছিলেন উত্তরপাড়ার তৃনমূল ত্যাগী বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। প্রবীর ঘোষালের অভিযোগ নির্বাচনের আগে লোক দেখানো কিছুটা মেরামতি হবে।আসলে সরকারের কাছে টাকা নেই। দান খয়রাতি করে সব টাকা শেষ করে এখন মানুষের উন্নয়নের কাজ করতে পারছে না তারা । উত্তরপাড়া জল প্রকল্প নিয়ে গতকাল এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম।সেই প্রকল্প আদৌ এই সরকার করতে পারবে না বলে দাবী প্রবীর ঘোষালের।১৭৬৩ কোটি টাকার এই জল প্রকল্পের জন্য এখনো পর্যন্ত চারশ কোটি টাকা এসেছে।যার মধ্যে ১৫০ কোটি টাকা কেন্দ্রের আর দেরশ কোটি এশিয়ান ডেভালপমেন্টের তার অভি।ঠিকাদাররা টাকা পাচ্ছে না বলে কাজ থমকে আছে। একমাত্র বিজেপি সরকার এলে তবেই জল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।১৭৬৩ কোটি টাকা কোথা থেকে আসবে সেটা ববি হাকিমও জানে না মুখ্যমন্ত্রীও জানে না।এইসব ধাপ্পাবাজি মানুষ সব বোঝে ভোটের রাজনীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ প্রবীর বাবুর।
শ্রীরামপুর সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন,কালকে মন্ত্রী ফিরহাদ নিজেই ছিলেন।১৭৬৩ কোটি টাকা অনুমোদন হয়ে গেছে।যত জল সরবরাহ হবে তার ৭০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে।এই জলটা দেওয়া শুরু হবে এতে কার অসুবিধা হচ্ছে।দশটা লোকও যদি উপকার পায় তাহলে কার কি অসুবিধা আছে।জল প্রকল্পের পাইপ ঢুকছে বলে কানাইপুরে রাস্তার কাজ থমকে আছে।এই কাজ চলবে থামবে না।গা জলছে কেন বিধাকের।উনি কোন কাজ করেননি। সব কাজ আমি করিয়ে নিয়ে এসেছি। এমন অভিযোগও উঠেছে ওনার পরিবারের সদস্য যারা ঠিকাদার ছিলো তারা সেচ দপ্তরের ঠিকাদারী করেছে। অন্যদিকে 
কানাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছেলাল যাদব জানান বিধায়ক নতুন দলে যোগ দিয়েছেন।  ওনাকে কিছু দেখাতে হবে তাই বাইরে থেকে পঞ্চাশটা লোক নিয়ে এসে বিক্ষোভ করছেন। অভিযোগ মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ভুল বুঝিয়ে টিকিট নিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। বিজেপিকেও ভুল বুঝিয়ে টিকিট নিতে চাইছেন সেটা হবে না। বিজেপি তাকে টিকিট দেবে না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।